বিসমিল্লাহীর রাহমানীর রাহীম
৯নং লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থানের তথ্যঃ
ক্রম |
দর্শনীয় স্থানের নাম |
বিবরন |
অবস্থান |
১. |
আধ্যাতিক আলেম হযরত মাওঃ সৈয়দ আহমেদের মাজার |
অত্র লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। যিনি হলেন আলেমে দ্বীন আল্লামা আলহাজ্ব মাওঃ সৈয়দ আহমেদ। যাহার মাজার এখনও মেঘনার তীরবর্তী কাসেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন তাঁহার নিজ বাড়ীর দরজায় রয়েছে। যেখানে অনেক দূরদূরান্ত থেকে অনেক ভক্ত ও সাধারন লোক যিয়ারত করতে আসে। জনশ্রুতি রয়েছে যে, তিনি অনেক ধরনের অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তিনি শতবর্ষ পূরনীয় ঐতিহ্যবহী লর্ডহার্ডিঞ্জ ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠতা। |
মাজারটি সৈয়দাবাদ গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর তীরে বেড়ী বাঁধের নিকট অবস্থিত |
২. |
বেতুয়া নদী |
বেতুয়া নদীটি লর্ডহার্ডিঞ্জ এবং রমাগঞ্জ ইউনিয়নের সীমানা বরাবর উত্তর দিক হতে দঃ দিকে বয়ে গিয়েছে। বর্তৃমানে ইহার দক্ষিন মাথা ফাতেমাবাদ স্লুইজ গেটের মাধ্যমে আটকানো হয়েছে। এক সময় ইহা প্রবহমান ছিল। বর্তমানে ইহা বদ্ধ জলাশয় হিসেবে মৎস্য চাষ করা হয়। এখানে শীতকালে নানা রকম অতিথী পাখি আসে। ইহার পানি শীত কালে একদম স্বচ্ছ থাকে। তাই ইহার পানির নিচের শৈবাল গভীর সমুদ্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। ইহার দুই তীরের কাঁশবন, সারি সারি তাল গাছ, বিভিন্ন গাছ গাছালি এবং জেলেদের ছোট ছোট নৌকায় শান্ত পানিতে মাছ ধরার নৈশগৃক দৃশ্য মন কেড়ে নেয়। |
বেতুয়া নদীটি লর্ডহার্ডিঞ্জি ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ, অন্নদাপ্রসাদে এবং প্যায়ারীমোহন গ্রাম নিয়ে ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ হতে ৪কিমি দূরে অবস্থিত। |
৩. |
চর সৈয়দপুর |
চর সৈয়দপুর মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা একটি নতুন চর। ইহার জীবন প্রায় ২৫ বছর। এখানে অল্প পরিমানে জনবসতি ঘরে উঠেছে। এখানে ধরনের কাকড়া, মাছ, ইত্যাদি পাওয়া যায়। ইহা অতিথী পাখিদির অভয়রান্য। এখানে বনবিভাগ কর্তৃক বন সৃজন করা হয়েছে। এখান বনে হরিন ও বানর দেখতে পাওয়া যা মানুষের মনকে কেড়ে নেয়। এখানে কৃত্রিমভাবে মহিষ ও বেড়ার খামার গড়ে তোলা হচ্ছে। |
চরটি লর্ডহার্ডিঞ্জ, সৈয়দাবাদ, চাঁদপুর ও ফাতেমাবাদ গ্রামের সীমানা নিয়ে গঠিত হয়েছে। লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর তীরে গিয়ে নৌকা, ট্রলার যোগে চর সৈয়দপুর যায়। |
৪. |
মেঘনা নদীর তীর |
মেঘনা নদীটি লর্ডহার্ডিঞ্জ, সৈয়দাবাদ, চাঁদপুর ও ফাতেমাবাদ গ্রামের সীমানা নিয়ে পূর্ব সীমানা বরাবর উত্তর দিক হতে দঃ দিকে বঙ্গোপসাগরের দিকে বয়ে গিয়েছে। মেঘানার ত্রাসের কথা সকলেরই জানা। বর্ষাকালে মেঘনার উত্তাল ঢেউ সীমাহীন দিগন্ত গভীর সমুদ্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। উত্তাল মেঘনায় বিকেল বেলার জেলেদের মাছ ধরা দৃশ্য মনকে রোমাঞ্চকর করে তুলে। শীতকালে মেঘনার সকাল বেলার সূর্যোদয়ের দৃশ্য মনকে অন্যরকম করে তুলে। তাহা ছাড়া মেঘনার তীরের সারি সারি তাল গাছ, খেজুর গাছ, খোলা প্রান্তর বিভিন্ন গাছ গাছালি এবং জেলেদের ছোট ছোট নৌকায় মাছ ধরার নৈশগৃক দৃশ্য মন কেড়ে নেয়। |
লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পূর্ব দিকে ৩ কিমি দূরে মেঘনা নদীর তীর বেড়ী বাঁধের নিকট অবস্থিত |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস